May 3, 2024, 6:49 pm

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
ভালুকায় মে দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। ভালুকায় তীব্র তাপদাহে সর্বসাধারণের মাঝে পানি ও খাবার সেলাইন বিতরণ। আইবি বাংলো’র অর্থ আত্নসাতকারী সাইফুজ্জামান চুন্নু ধরাছোঁয়ার বাইরে বেনাপোলে বাস চাপায় নিহত ১ গুরুতর আহত ১। যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয়দের পিটুনিতে একজনের মৃত্যু। রাজশাহী মহানগরীর কুখ্যাত মাদক সম্রাট রাব্বি খাঁ আটক ভালুকায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার নিজকাটা খালে ভাসছে টর্পেডোর আকৃতির একটি বস্তু। জার্নালিস্ট ইউনিটি সোসাইটি (জেইউএস) এর প্রকাশিত “ত্রিমোহনা” সহ নিজের লিখা ও সম্পাদিত বেশকিছু ব‌ই মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে উপহার দিলেন। ত্রিশালে ডাকাত দলের তিন সদস্য আটক। বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণসভা ওঅসচ্ছল পরিবারের মধ্যে আর্থিক সহায়তা বিতরণ। টংগিবাড়ী বাজারের পাশে ময়লার ভাগার ঝুঁকিতে পরিবেশ ও জনসাস্থ্য। টংগিবাড়ী উপজেলা প্রশাসন কতৃক তীব্র তাপদাহে সুপেয় পানির ব্যাবস্থা। বেনাপোল বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় ভারত থেকে আমদানিকৃত ৩৭০ টন আলু পচন ধরতে শুরু করেছে। ভালুকায় তীব্র তাপদাহে সর্বসাধারণের মাঝে পানি ও খাবার সেলাইন বিতরণ। ভালুকায় দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছেলের আঘাতে বাবার মৃত্যু। তীব্র গরমে খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে খাবার সেলাইন বিতরণ করলেন ওসি কামাল। ভালুকায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন স্মারক লিপি প্রদান। ঈদগািঁও উপজেলা নির্বাচনে তিনটি পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন ১৭ জন প্রার্থী। ময়মনসিংহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভালুকা মডেল থানা শ্রেষ্ঠত্ব। ভালুকায় ল্যান্ডমার্ক সিটি পার্টি সেন্টার উদ্বোধন। যশোরে ইরি (বোরো)ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের কার্যক্রমে অপরাধজনক কোন ঘটনা ঘটেনি ময়মনসিংহ শিল্প এলাকায়। ছবি তোলার অপরাধে সাংবাদিক গ্রেফতার, অত:পর মুক্তি রংপুরের গঙ্গাচড়ায় অবৈধ ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় প্রতিবেশীর উপর হামলা আহত ৩ রমেকে ভর্তি। দেশব্যাপী তিন দিনের সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। ভাবির ছবি এডিট করে নগ্ন ভাবে প্রচার করায় আটক দেবর। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু। ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০ পিস স্বর্ণের বারসহ ২ জনকে আটক করেছে বিজিবি। সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা।

পুরুষরাও নীরব নির্যাতনের স্বীকার, কিন্তু বুঝা যায়না !

পুরুষরাও নীরব নির্যাতনের স্বীকার, কিন্তু বুঝা যায়না !

বিবাহিত জীবনে যে শুধু নারীই নির্যাতিত হন তা কিন্তু নয়। পুরুষরাও নির্যাতিত হন। আমি শতভাগ নিশ্চিত হয়েই কথাটা বলছি। প্রশ্নটা হচ্ছে কিভাবে? অধিকাংশ মেয়ে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির লোকদের দেখতে পারেনা, তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করতে চান না আর করলেও দায় সারা ভাব থাকে। তাদের পিছনে টাকা খরচ করা নিশ্চিত অপচয় বলে মনে করে। ফলে বাধ্য হয়েই স্বামীরা গোপনে বাড়িতে টাকা পাঠায়। সেটা যদি কোনভাবে বউ জানে শুরু হয় অশান্তি। এর ভেতরে স্বামীর প্রাক্তন প্রেমের ইতিহাস জানলেতো কথাই নেই। এই অশান্তি আগ্নেয়গিরির লাভা হয়ে যাবে। বেচারা স্বামী যতই তার প্রাক্তনকে ভুলে থাকুক বউ তা কিছুতেই ভুলে থাকতে দিবেনা। উঠতে বসতে, কারণে অকারণে খোঁটা দেবে।

সন্দেহপ্রবণ কিছু মেয়ে আছে। এরা স্বামীর টয়লেটে বেশি সময় লাগলে কান পেতে থাকে, হিসু করার নামে ভেতরে গিয়ে কারো সাথে ফোনে কথা বলছে কিনা মোবাইল ফোন সুযোগ পেলেই ঘাটে, ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ঘাটে। কোন মেয়ের নাম পেলেই সে মনগড়া ভাবে মেয়েটিকে স্বামীর প্রেমিকা বানিয়ে দেয়, বাস্তবে হোক সেটা আশি বছরের বৃদ্ধাশ্রমে থাকা কোন মহিলার নাম। শুরু হয় গোয়েন্দাগিরি, স্বামী বেচারা যতোই তাকে ভালোবাসুক, কেয়ার করুক ভদ্রমহিলা নিজেকে দুনিয়ার সবচাইতে অবহেলিত বউ হিসেবে নিজেকে আবিষ্কার করে। সংসারে জ্বালার শুরু এখান থেকেই !

কেউ আছে তার স্বামীকে নিজের মতকরে পেতে চায়। তারা লুতুপুতু হয়ে স্বামীর কাছে হাস্যকর আবদার তুলে ধরে বলে, “আজ থেকে তোমার সকল ব্যক্তিগত বিষয় আমাকে জানাবা” কথা হলো ব্যক্তিগত বিষয় কিভাবে ব্যক্তি নিজে ছাড়া অন্যে জানে? স্বামী বেচারা বউয়ের আবদার পূরণ করতে গিয়ে হিমশিম খায়। নিজের পছন্দের কাজ বউয়ের অপছন্দ, মতের গুরুত্বহীনতা, পছন্দের অমিল। বউয়ের মন রক্ষা করতে গিয়ে স্বামীর নিজের অস্তিত্ব নিয়ে টানাটানি। শুরু হয় স্বামীর ট্রমা..বিষণ্ণতা। “কি ছিলাম আর কি হয়ে যাচ্ছি?” আল্লাহর দুনিয়ায় ড্রামাবাজ কিছু মেয়ে আছে। এরা নিজের কাজ হাসিলে সেই লেভেলের ড্রামা করতে পারে। যেমন- কোন কারণে ঝগড়া হলেই সে স্বামীকে আত্মহত্যার হুমকি দেয়, কথা বলেনা, আলাদা ঘরে ঘুমায়, খেতে চায়না, রাগ করে বাপেরবাড়ীও চলে যায়, বাচ্চাদের সাথে রাগারাগি করে, ওদের মারে। তাদের অযৌক্তিক, আহ্লাদী উদ্দেশ্য হাসিলে নানারকম প্রতিরক্ষামূলক কৌশল বা Defense Mechanism ব্যবহার করে অভিযোজন করে। তবে স্বামীর উপর রাগ করে বাচ্চাকে মারা তীব্র মনোকষ্টের প্রকাশ। এটাকে বলে Displacement.

নোংরা স্বভাবের মেয়ে আছে কিছু। এরা কোনকিছু গুছিয়ে রাখেনা। পুরো বাড়ীর জিনিষপত্র এলোমেলো পড়ে থাকে। দামী দামী ফার্নিচারের প্রতিটার উপরে এক ইঞ্চি করে ধূলার স্তর। বাথরুম, কিচেনসহ পুরো বাড়ী নোংরা হয়ে থাকে। বাচ্চার হিসুর গন্ধে পুরো ঘর “হিসু হিসু ঘন্ধে ভরে থাকে নিজে পরিস্কার করেনা, কাজের লোককে দিয়েও করায়না। স্বামী নিজে মাঝে মাঝে করে বা কাজের লোককে দিয়ে করায়। এই নিয়ে রোজ অশান্তি। তুলনাবাজ কিছু মেয়ে আছে। অমুকে তার বউয়ের জন্য এইটা করে, তমুকের বউ এতো দামের শাড়ি কিনছে, তালতো বোনের খালতো ভাইয়ের ফুপাতো বোনের বর শশুড় বাড়িতে ট্রাক ভরে বাজার পাঠাইছে। তুমি কি করছো আমার জন্য? স্বামীর আয়ের দিকে তার কোন নজর নাই। প্রতি মাসে তার শাড়ী কেনা চাইই চাই। বেচারা স্বামী…বউরে কিছুতেই বুঝাইতে পারেনা। 

স্বাধীনচেতা কিছু মেয়ে আছে। এরা হচ্ছে “তুমি তোমার মত, আমি আমার মত” টাইপ। এদের সাথে স্বামী চাইলেও তার সমস্যা, কষ্ট, আনন্দ প্রাণখুলে শেয়ার করতে পারেনা। কোন বিষয় নিয়ে তার সাথে কথা বলা যায়না। স্বামীর কিছুতেই তার কোন আগ্রহ নেই। তার সব আগ্রহ আত্মকেন্দ্রিক। স্বামীর কোন কিছুইই তাকে টানেনা। সংসারের বিষয়ে উদাসীন। কোন কিছু করতে চায়না। এমন কি রান্নাও না।  অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমায়। সব কিছু কাজের মেয়ের উপর ফেলে রাখে। নিজের মেয়েকেও ঠিকমত খাওয়ায় না। মেয়েটা দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছে। ছেলেমেয়েকে পড়াতেও চায়না। সংসার চলে কাজের মেয়ে দিয়ে। কিন্তু কাজের মেয়েও টিকেনা তার দূর্ব্যবহারের কারণে। বিয়ের আগে বউ বলেছিল দু’জনের আয়ে সংসার চালাবে। বিয়ের পর বউ সব ভুলে গেছে। বউ তার বেতনের টাকা দেয়না। টাকা দিয়ে কি করে, বলেও না। সংসার চালাতে পারেনা, ব্যাংক লোন আছে। এই নিয়ে রাগারাগি হয় প্রায়ই।

এখন আবার ফেসবুক যুগ। বউয়ের দাবী, স্বামীর কোন মেয়ে ভক্ত থাকা যাবেনা। তাদের সাথে চ্যাট করা যাবেনা। কোন মেয়ে তার কিছুতে লাইক বা কমেন্ট করলে তা নিয়ে অশান্তি। তার পাসওয়ার্ড হ্যাক করে সে ওসব ভক্তদের গালি দেয়। অথচ নিজে পরকীয়া করে যাচ্ছে দিনের পর স্বামী বেচারা বড়ই শান্তশিষ্ট। বুক ফাটেতো মুখ ফুটেনা। (সব ছেলে বাঘা তেতুল হয়না) বিষয়টা হল, মেয়েরা কোন কিছু করার জন্য স্বামীকে বলতে বা চাপ দিতে পারে কিংবা মানসিক টর্চার করতে পারে, গায়ে হাত তুলে মারতে পারেনা। রাগারাগি, কান্নাকাটি, মন খারাপ করতে পারে বড়জোর। তাই এগুলোকে ‘নির্যাতন’ বলে ধরা হয়না। আমাদের সমাজ গায়ে কয়টা দাগ পড়েছে তা দিয়ে নির্যাতন হিসাব করে। আর এইখানেই পুরুষেরা বউ পিটিয়ে নির্যাতক হিসেবে ধরা খেয়ে যায়। এই সুযোগে তীব্র মাত্রায় মানসিক নির্যাতক নারীগুলো একটা পুরুষের জীবনকে অশান্তিতে ভরিয়ে দেয়। অথচ মানসিক জ্বালা কিন্তু শরীরের জ্বালার চাইতেও তীব্র। এই দুনিয়ায় যত আত্মহত্যা ঘটে তাতো “মনের জ্বালাতেই ঘটে”।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com